সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই অযোধ্যায় হিন্দু ভক্তদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে
নিউজ ডেস্ক টিপিওঃ রাম জন্মভূমি ও বাবরি মসজিদ মামলার রায় ১৭ নভেম্বর শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগেই আগামী মঙ্গলবার অযোধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ঘিরে অযোধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের জমায়েত শুরু।এটাকে লক্ষ রেখে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সুরক্ষা বাহিনী, যাতে কোনও ধরনের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা না ঘটে। অযোধ্যার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও কোথাও কোনও জন সমাগম হওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ওপর রাখা হচ্ছে কড়া নজরদারি। হিন্দু-মুসলিম উভয় ধর্মের শীর্ষ নেতারা সাধারণের উদ্দেশ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির বাসভবনে মঙ্গলবার বৈঠক হয়। সেখানে সমাজের সব ক্ষেত্রের মানুষকে শীর্ষ আদালতের রায় মেনে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের যুগ্ম সচিব কৃষ্ণ গোপাল, বিজেপির প্রাক্তন সচিব রাম লাল, চজামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মেহমুদ মাদানি, প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকি এবং সারা ভারত মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য কমল ফারুকি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, '‌ঐক্য এবং বৈচিত্র‌্য আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গীকার। তাই আমরা এই বৈঠকে একত্রিত হয়েছি। অযোধ্যা রায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখেই এই জাতি মেনে নেবে বলে আমার দৃঢ় ধারণা।'‌ বিজেপি এবং আরএসএস উভয় নেতাদেরই শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং রায় ঘোষণার পর কোনও ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ বক্তৃতা থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়। ১৬ অক্টোবর থেকে অযোধ্যা মামলার ৪০ দিনের শুনানি শেষ হবে ১৭ নভেম্বর। এদিনই দেশের সর্বোচ্চ বিচারপতি রঞ্জন গগৌ অবসর নেবেন।

অযোধ্যা রায় নিয়ে বড় ধরনের উৎসব পালন করা নিয়ে বিজেপি-আরএসএসকে সতর্ক করা হয়েছে। শীর্ষ বিজেপি নেতা শেহনাজ হুসেন জানিয়েছেন, কেউ যাতে শান্তি বিঘ্নিত না করে এবং সুস্থ পরিবেশ যাতে বজায় থাকে মঙ্গলবারের বৈঠকে যোগ দেওয়া নেতারা সকলেই জানিয়েছেন যে তাঁরা সেটা বজায় রাখার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করবেন। তবে রায় ঘোষণার আগে আগামী মঙ্গলবার কার্তিক পুর্ণিমা উপলক্ষ্যে অযোধ্যায় সরযূ নদীতে স্নান করার জন্য লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হবে। গত বছর ৮ লক্ষ মানুষ এই উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ভিড় কমে গেলেও, অনেক ভক্তই অযোধ্যায় বেশ কিছুদিনের জন্য থেকে যান। কারণ এই অযোধ্যা রাম-জন্মভূমি বলেই বিশ্বাস করেন হিন্দুরা। অযোধ্যা সংলগ্ন আম্বেদকর নগর জেলার এক বাসিন্দা অম্বুজ কুমার বলেন, '‌আমি এ বছর অবশ্যই কার্তিক পূর্ণিমা মেলায় যাব। কে বলতে পারে সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দিরের পক্ষেই রায় দিলেন। আর যদি এটা হয়, তবে আমি ওই জায়গায় গিয়ে শিলা পুঁতে আসার সুযোগ পাব।'‌ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অযোধ্যীআয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি কার্তিক পুর্ণিমা উপলক্ষ্যে আরও বেশি করে পুলিশ বাহিনী দেওয়া হয়েছে। সরযূ নদীর ঘাট সহ গোটা অযোধ্যা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার মোড়কে।

 



 

 

আরো পড়ুন