শিক্ষক কর্তৃক উদয়পুর আসাম রাইফেল স্কুলে মানসিক নির্যাতনের শিকার এক ছাত্র
ত্রিপুরা পাবলিক ওপিনিয়ন রিপোর্টারঃ উদয়পুর আসাম রাইফেল স্কুলে সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রের সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব করা সহ ওই ছাত্রকে চুর চামার ধোঁকাবাজ বলে আখ্যায়িত করার অভিযোগ উঠছে শিক্ষক অসীম নাথ ভৌমিকের বিরুদ্ধে । এমনিতে আসাম রাইফেল স্কুলের ওই শিক্ষকের আচরনে বীতশ্রদ্ধ একটা অংশের অভিবাবক। ঘটনার বিবরনে জানা যায় প্রজেক্ট জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রের সমস্যা তৈরি হয় । সপ্তম শ্রেনীর ওই ছাত্রের বক্তব্য, স্যোসাল স্টাডির প্রজেক্ট জমা দিতে গেলে প্রজেক্ট ইনচার্জ সান্তপি ম্যাডাম নাকি প্রজেক্টটি মূল্যায়ন করার পর জমা রেখে দেন। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অসিম নাথ ভৌমিকের বক্তব্য সাবমিট করা প্রজেক্টটা নাকি ফালতু । এরপর একের পর এক তিনটি প্রজেক্ট নিয়ে যায় ওই ছাত্র । একইভাবে জমা দিতে গেলে তাকে বকাঝকা করে বিদায় করে দেন ওই শিক্ষক মহোদয় । তিন দিনে তিনটি প্রজেক্ট বানিয়ে দেখানোর পরও সন্তুষ্ট হন নি ওই বিজ্ঞান শিক্ষক । উপরন্তু ওনার বক্তব্য ওই ছাত্রটি নাকি প্রজেক্ট চুরি করে এনে সাবমিট করেছে । এখন প্রশ্ন উঠছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সমাজ বিজ্ঞানের প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা ওই ম্যাডামকে এড়িয়ে গিয়ে কেন নিজের হামবড়া ভাব জাহির করার কষ্ট করলেন ? এর পেছনে আসল রহস্যই বা কি ? প্রশ্ন উঠছে একজন শিক্ষক কি করে তা করতে পারেন । মেধাবী ওই ছাত্র এদিনই প্রচন্ড অপমান বোধ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে । পরে ছাত্রের অভিবাবক এই ঘটনা প্রিন্সিপাল সুমন ভট্রাচার্যকে জানালে তিনি সমস্যা সমাধান তো দূর অভিবাবকের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করা সহ বিজ্ঞান শিক্ষকের সমর্থনে নানা যুক্তি দাঁড় করাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । অভিবাবকের বক্তব্য তিনি বিষয়টির সত্য মিথ্যা কোনটাই যাচাই করার প্রয়োজনীয়তাই মনে করেন নি । বরং কোন কিছু তদন্ত না করেই ওই ছাত্রের উপর রেগে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন । ছাত্রের অভিবাবকের বক্তব্য একটা সমস্যা যখন তৈরী হয়েছে এটা সুষ্টু আলোচনার মাধ্যমে শেষ হতে পারতো । কিন্তু মিস্টার ভট্টাচার্য স্কুলের প্রিন্সিপাল হিসেবে ওনার দক্ষতা বা যোগ্যতা কোনটাই দর্শাতে পারেন নি । এমনকি ঘটনার দুই দিন পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে কয়েকজন অভিবাবক ও শুভচিন্তক স্কুলে গেলে তাদের সঙ্গে নূন্যতম সৌজন্যতা তো দূর বরং আধ ঘন্টা বসিয়ে রাখেন অধ্যক্ষের কক্ষে। ওনারা কোন ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে অপমানিত হয়ে চলে আসেন । পরে কোন উপায় না দেখে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রের মা রুমা বড়ুয়া লস্কর। এখন মহকুমা শাসক কি পদক্ষেপ নেন এটাই এখন দেখার ।