প্রয়াত ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রাক্তন এয়ার মার্শাল শিবপ্রসাদ চক্রবর্তী।।

ত্রিপুরা পাবলিক ওপিনিয়ন: উদয়পুর তথা ত্রিপুরার কৃতী সন্তান,কিরীট বিক্রম ইনষ্টিটিউশনের প্রাক্তন ছাত্র, ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রাক্তন এয়ার মার্শাল শিবপ্রসাদ চক্রবর্তী (৯০) ১৭ জুন নয়াদিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের নিজ বাসভবনে পরলোক গমন করেছেন। গত কিছুদিন ধরে তিনি বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে পত্নী, দুই কণ্যা এক পুত্র সমেত বহু আত্মীয় পরিজন ও গুনমুগ্ধদের রেখে গেছেন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তদানীন্তন বড় হাকিম বাবুর সরকারী আবাসে (বর্তমান গোমতী জেলা পরিষদ কার্যালয়) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কুঞ্জমোহন চক্রবর্তী ঐ সময়ে উদয়পুর বিভাগের বিভাগীয় কার্যকারক বা বড় হাকিম পদে বৃত ছিলেন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় উদয়পুরের কিরীট বিক্রম ইনষ্টিটিউশনে। নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠশালায় ভর্তি হন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পাঁচের দশকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অফিসার পদে যোগ দেন। বিমান বাহিনীতে কর্মরত থাকা কালে তিনি ব্রিটেন, আমেরিকা সহ কয়েকটি দেশে ভারতীয় দূতাবাসেও কাজ করেছেন। একাত্তরের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ তথা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি এয়ার মার্শাল পদে উন্নীত হন এবং ১৯৯১ সালের ৩১ শে জানুয়ারী অবসর গ্রহণ করেন। ত্রিপুরার আর কেউ এয়ার মার্শাল হননি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পর তিনি এই পদে দ্বিতীয় বাঙ্গালী।  তিনি কে,বি,আই-তে পড়াকালে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, ত্রিপুরার প্রথম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিতিকন্ঠ সেনগুপ্ত মহোদয়ের অত্যন্ত প্রিয় ছাত্র ছিলেন।  উল্লেখ্য কে,বি, আইয়ের ১৯৪৬ সালের ব্যাচের আর মাত্র দুই জন জীবিত আছেন এমনটাই জানা গেছে। তাদের একজন কৃষি বিজ্ঞানী তথা প্রাক্তন কৃষি অধিকর্তা ভবশঙ্কর নাগ এবং সাংবাদিক ও লেখক স্বপন ভট্টাচার্যের জ্যেষ্ঠ সহোদর ত্রিপুরা সরকারের প্রাক্তন যুগ্ম সচিব পৃথ্বীশ চন্দ্র ভট্টাচার্য।ওনার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন লেখক গুণীজন সহ সব মহল থেকেই।

আরো পড়ুন