পানীয় জলের সংকটে জেরবার উদয়পুর পুর এলাকার কয়েক'শ পরিবার,দফতর  উদাসীন।

ত্রিপুরা পাবলিক ওপিনিয়ন: উদয়পুর পুর এলাকার ২১ নং ওয়ার্ডের একটা অংশ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের ভদ্রপাড়ার লোকজনকে গত দুদিন ধরে একপ্রকার জল ছাড়াই কাটাতে হলো।  তৃষ্ণা মেটাতে অবশেষে বাজার থেকে জল কিনতে হলো সংশ্লিষ্ট এলাকার শখানেক পরিবারকে। তবে কয়েকদিন বাদে বাদে শহরের প্রাণকেন্দ্রে জল সংকটের নেপথ্যে একটা অন্য কাহিনী রয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্র থেকে  উঠে এসেছে। উদয়পুর ডিডব্লিউএস থেকে ভদ্রপাড়া বড়জোর ১০০ মিটার দূরত্বে। কিন্তু কেন এই জলকষ্ট এলাকাবাসীর তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এসেছে। সূত্রের খবর মেরামতের নাম করে লিটন বাবুরা লক্ষ লক্ষ টাকা লুটেপুটে খাচ্ছেন কয়েকজন ছোটখাটো ঠিকাদারকে হাতে নিয়ে। বিগত বাম রাজত্বের শেষের শুরু থেকে দীর্ঘ পাঁচ সাত বছর ধরে একই জায়গাতে অবস্থান করাতে উনার খুঁটিনাটি সবকিছু এখন নখদর্পণে। ভাঙাচোরা মেরামত করলে যে কামাই নতুনভাবে পাইপ বা মেশিন স্থাপন করলে সেই কামাইয়ের পথটা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এমনও জানা যাচ্ছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পুত্রকে  কাজের সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পানীয়জল দপ্তরে ছড়ি ঘুরাচ্ছেন ওই এসডিও।  ওনার দায়িত্ব থাকাকালে গত পাঁচ বছরে পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে পরিষেবায় অবনতি ছাড়া উন্নতি হয়নি। খবর নিয়ে জানা গেছে পুর এলাকাবাসীর তিন হাজারের বেশি পানীয় জলের আবেদনপত্র জমা পড়ে রয়েছে। অটল জল মিশনের কাজ উদয়পুরে এক কদমও এগোয়নি। এগোবে বা কি করে এমন ধরনের কর্মবিমুখ আধিকারিকদের দিয়ে উদয়পুরের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় কি করে জলের মতো মৌলিক সমস্যার সমাধান সম্ভব এটাই প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ২০২০ সালের মধ্যে ঘর ঘর নল ঘর ঘর জলের যে স্লোগান নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন তা পূরন  করা আদৌ কি সম্ভব? এ নিয়ে পুর পরিষদের চেয়ারপারসন লিটন বাবুদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিংয়ে বসছেন।  কিন্তু ওনার  বক্তব্যকে কানে তুলতে চাইছেন না ওই বাবু। ফলে পুরবাসীকে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের যে প্রতিশ্রুতি শীতল বাবুরা দিয়েছিলেন তার কোনো সুরাহা বা সমাধানের পথ এখনো দিতে পারেননি তারা। স্বাভাবিক কারণেই সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। তাছাড়া বামমার্গীয় এই বাবুর কর্মসংস্কৃতি দেখলে মানুষের নিত্যদিনের পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে কোনো আন্তরিকতার ছিটেফোটা চোখে পড়ে না। নিজের মর্জিমতো কাজ করতে তিনি অভ্যস্ত। মন্দির নগরীতে কান পাতলেই শোনা যায়  বাম  আমলের মতো রাম আমলেও লিটন বাবুদের মত গদাই লস্করি অফিসারকে দিয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা ভোগ করে জনগণকে পানীয় জলের প্রাথমিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। একবার সাংবাদিক সম্মেলনে লিটন বাবুদের কর্মবিমুখতা নিয়ে  প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। 

আরো পড়ুন