সাংবাদিক হেনস্থা.. অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করলেন সাংবাদিকের একটি প্রতিনিধি দল।।

বাইকের কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে স্যন্দন সাংবাদিককে হেনস্থা।।

ত্রিপুরা পাবলিক ওপিনিয়ন রিপোর্টার: 

কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে সাধারণ যান চালকদের হয়রানির অভিযোগ উদয়পুরে একটা অংশের ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বারবার উঠছে। রবিবার সকালে একইভাবে স্যান্দন পত্রিকার সাংবাদিক  রাকেশ নন্দীর সঙ্গে কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে যে অভব্য আচরণ দায়িত্বরত ট্রাফিক দপ্তরের আধিকারিক করলেন তাতে আবারও  প্রমাণিত হয়েছে রাস্তায় ট্রাফিক বাবুরা টু-পাইস কামানোর চক্করে চালকদেরকে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অযথা হয়রানির শিকার হতে হয় । এদিন ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখার নামে জাতীয় সড়কের বাগমা টেপানিয়া অংশে  ট্রাফিক পুলিশের এএসআই তাপস পাল ও কনস্টেবল বিপ্লব চক্রবর্ত্তী কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে অভদ্রতার চরম সীমায় পৌঁছেন। এমনকি বাইকের সামনে প্রেস লেখা দেখে দায়িত্বরত ওই ট্রাফিক বাবু প্রথমেই জানতে চান কোন কাগজের বা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া হাউসের সাংবাদিক। রাকেশ বাবু জানান তিনি স্যান্দন পত্রিকাতে কাজ করেন। আর একথা শুনা মাত্র তাপস বাবুর শরীরে যেন ফোসকা  ফুটে যায়।  এর পেছনের রহস্যটা কী সেটা  তাপস বাবুর চেয়ে ভালো কে জানবেন! অথচ বাইক চালানো অবস্থায় মাথায় হেলমেট সহ যাবতীয় কাগজপত্র আপটুডেট ছিল। কিন্তু রাকেশ বাবু ওনার কাগজপত্র দেখানোর পূর্বে  জানতে চান  আপনাদের এই ধরনের উদ্ধত আচরণ তুই তুকারি কেন ?  সাংবাদিক কর্তব্যরত ট্রাফিক আধিকারিকের নাম জানতে চান। আর একথার পর ওই গুণধর ট্রাফিক বাবু ওনার আরেক সঙ্গী রেগে  মারমুখী হয়ে  উঠেন। এমনকি সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন।  এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্য কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ট্রাফিক বাবুদের হম্বিতম্বি থেমে যায়। ট্রাফিক এএসআই কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছনার গোটা ঘটনাটি লিখিত অভিযোগ জানিয়ে সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করলেন সাংবাদিকের একটি প্রতিনিধি দল। 

আরো পড়ুন