২০৪০-এর মধ্যে দ্বিগুণ হবে ভূমধ্যসাগরের প্লাস্টিক বর্জ্য

নিউজ ডেস্কঃ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অফ নেচার সম্প্রতি এক সতর্কবার্তা জারি করল। কারণ, ভূমধ্যসাগরে প্রতি বছর ২৩০,০০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হয়! যদি বিশেষ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তা হলে ২০৪০ এর মধ্যে এই বর্জ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মিশর, ইতালি ও তুরষ্ক হল সেই তিনটি দেশ, যারা সব চেয়ে বেশি বর্জ্য ভূমধ্যসাগরে ফেলে। তার অন্যতম কারণ হল এই তিনটি দেশেই উপকূল অঞ্চলে জনবসতি অত্যন্ত ঘন। তা ছাড়াও এই দেশগুলিতে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য কোনও সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। কিন্তু যদি পার ক্যাপিটা হিসেব ধরা হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে যে মন্টেনেগ্রো, আলবানিয়া, বসনিয়া, হারজেগোভিনা ও উত্তর ম্যাসিডোনিয়া সব চেয়ে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য ভূমধ্যসাগরে নিক্ষেপ করে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার মেয়ার প্লাস্টিকাম: দ্য মেডিটেরানিয়ান নাম দিয়ে যে রিপোর্ট বের করেছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে এর মধ্যেই হয় তো ভূমধ্যসাগরে ১ মিলিয়ন টন বর্জ্য জমা হয়ে গেছে! IUCN-এর মেরিন প্রোগ্রামের প্রধান মিনা এপ্স বলেছেন, প্লাস্টিক দূষণ স্থলভাগ এবং জলভাগ, দুই ধরনের জীব বৈচিত্র্যের পক্ষেই অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই রিপোর্ট আরও বলছে যে প্রতি বছর ২২৯,০০০ টন প্লাস্টিক ভূমধ্যসাগরে ফেলা হয়। শুনলে অবাক হবেন যে এই বর্জ্য ৫০০টি জাহাজের পাতের সমান! ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অফ নেচার এটাও লক্ষ্য করেছে যে বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থার ৯৪%-ই চূড়ান্ত অব্যবস্থায় পরিপূর্ণ, তাই বিপদের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। এত বেশি পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার জন্য সামুদ্রিক প্রাণীরা সেইগুলোকে খাবার ভেবে খেয়ে ফেলছে এবং গলায় আটকে মারা যাচ্ছে। জীবনচক্র সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই অনেক প্রাণী দম আটকে বা না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। যা আদতে ডেকে আনছে বাস্তুতন্ত্রের বিপদ। যদি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে প্লাস্টিক ব্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা বসানো যায় তা হলে প্রতি বছর ৫০,০০০ টন বর্জ্য কম করা যাবে। তাই IUCN-এর ভূমধ্যসাগর কোঅপারেশনের প্রধান আনতোনিও ত্রয়া বলেছেন যে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হলে সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, গবেষণা কেন্দ্র এবং সাধারণ মানুষ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে; একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কী ভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া যায়, সেই নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে। তবে সাসটেনেবল জীবনযাত্রা বেছে নিতে হলে সবার আগে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করাই হবে সঠিক পদক্ষেপ, এটা বলতেও ভোলেননি তিনি। By Source.

আরো পড়ুন