দলীয় পতাকা ব্যবহার করে নোংরামি!
ত্রিপুরা পাবলিক ওপিনিয়ন নিউজ:
একজন নাগরিক তার নিজস্ব চেষ্টায় দেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মর্মর মূর্তি স্থাপন করেছেন নিজ বাসভবনে। আজ ২৭ জুলাই উনার প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গিয়ে স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা নাজেহাল হতে হয়েছে উনার পরিবারকে। সারা দেশের সঙ্গে আমাদের রাজ্যেও আজ কালাম সাহেবকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়ক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন।
আজকের মূল বিষয়টিতে আসার আগে উল্লেখ করা প্রয়োজন রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক এবং রাজ্যের বরিষ্ঠ ও গুণী সাংবাদিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সমাজকর্মীদের উপস্থিতিতে উনার বাসভবনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম এর মূর্তিটি স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে জেলা শাসকের অনুমতি নিয়ে উনার বাড়িতে নিয়ম মেনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং অবনমন করা হয়। কিন্তু প্রয়াত কালাম সাহেবের স্ট্যাচু স্থাপনের পর থেকেই শুরু হয়ে গেল ঠান্ডা যুদ্ধ। এ মূর্তি স্থাপনকে কেন্দ্র করে শুরু হলো রেষারেষি। আলী আসরাব মিয়াকে নানাভাবে আক্রমণ করা হয়। বাড়িতে কেন এই মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে কেন জাতীয় পতাকা উড়ছে? এসব নাকি তিনি করতে পারবেন না। কিন্তু কেন? প্রশ্ন করা হলে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন উত্তর নেই। অশিক্ষা কুশিক্ষার অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষগুলি মহৎ উদ্যোগকে কলুষিত করার চেষ্টা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে শাসক দলীয় রাজনৈতিক সিম্বল টাকে কাজে লাগাচ্ছে। যার দল কোনমতেই অনুমতি দেয় না।
এলাকার একাংশ সু নাগরিকরা প্রশ্ন করছেন ওই ব্যক্তির যদি কোন অপরাধ দোষ গুণ থাকে তার জন্য সমাজ থানা পুলিশ বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। অথচ আলি আসরাব মিয়ার বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ নেই। যারা এভাবে সমস্যা তৈরি করছেন তারাও প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে কোন অভিযোগ করতে পারছেন না। কিন্তু ছলে বলে কৌশলে চেষ্টা করলেও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ কোন রাজনৈতিক দলাদলির সঙ্গে ও যুক্ত নন আলি আসরাব মিয়া ওরফে জালাল। একইভাবে ২৭ জুলাই একজন প্রয়াত রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানকে ঘিরে নোংরামির চরম পর্যায়ে পৌঁছালো স্থানীয় একাংশ । স্থানীয় দলীয় নেতৃত্বরা যখন বলছেন রাজনৈতিক সহমর্মিতা সহানুভূতি এবং সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা তখন তাদেরই একটা অংশ দলকে বদনাম করার জন্য অপপ্রয়াস প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে শনিবার অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ওনার মর্মর মূর্তিতে পুষ্পাঞ্জলি ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার প্রস্তুতি নেয় ছাতারিয়ার আলী আসরাব মিয়া। কিন্তু স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারীরা এই অনুষ্ঠানটিকে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য কুচক্রে লিপ্ত হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে অজুহাত দেখিয়ে আলী আশ্রাব মিয়ার বাড়ির সামনে যেখানে অনুষ্ঠানটি পালন করার জন্য চেয়ার টেবিল পেতে কালাম সাহেবের ছবি বসানো হয় সেই জায়গাতে রাজনৈতিক পোস্টার দিয়ে জায়গাটি দখল করে নেয়। অর্থাৎ অনুষ্ঠানটি যেন পালন করা না যায় তার জন্যই চক্রান্ত বলে জানিয়েছেন আলি আশরাব মিয়া।
উনার এবং উনার স্ত্রীর বক্তব্য স্থানীয় একটা অংশ রাজনৈতিক মদত পুষ্ট হয়ে প্রতিনিয়তই এভাবে সমস্যা তৈরি করে যাচ্ছে। আর বারবারই তারা মুখ বুঝে সহ্য করে আসছেন। তাদের বক্তব্য কেন এমন সমস্যা বারবার তারা তৈরি করছে ?তাদের অপরাধটা কি তারা এটাই বুঝতে পারছেন না।