অল্প বয়সে একাধিক বিয়ে করে ফেসে গেছে যুবক!

ত্রিপুরা পাবলিক ওপিনিয়ন রিপোর্টার,উদয়পুর:
নারী সংক্রান্ত অপরাধে আরকেপুর মহিলা থানা প্রথম। সাম্প্রতিক রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক রিপোর্টে তা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে ইতিবাচক দিকটি হচ্ছে আরকেপুর মহিলা থানা মহিলাদের সঙ্গে  ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটি অপরাধমূলক ঘটনায় মামলা গ্রহন করে সুষ্ঠু তদন্তের চেষ্টা করছে।  এতে মামলার সংখ্যা এই থানায়  সবচেয়ে বেশি।
 তবে  অভিযোগ আর কে পুর মহিলা থানার ওসি আলপনা  ম্যডামের বদান্যতায় আর কে পুর মহিলা থানার দিকে অভিযোগ প্রচুর।  আর কে পুর মহিলা থানার সহযোগী মহিলা আধিকারিকরা মহিলা সংক্রান্ত  অপরাধকে আইনি পথে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করছে। কিন্তু ওসির মন মর্জিমাফিক কাজ কর্মে ধুঁকছে থানা।
 এমন একটি  ঘটনা  সমাধানে আরকেপুর থানার ওসি বাবুল দাসকে ডেকে মহিলা সংক্রান্ত ঘটনা সমাধানের চেষ্টা চালিয়েছে আর কে পুর মহিলা থানার পুলিশ। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ স্ত্রী ও কোলের শিশু কন্যা রেখে আরেক মেয়েকে নিয়ে ফস্টি নস্টি করার অভিযোগে থানায় আটক করা হয়  অভিযুক্ত স্বামী বাদল নম: কে! এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ প্রথম স্ত্রী। মিডিয়ার সামনে স্বামীর কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন প্রথম স্ত্রী। ছোট্ট কন্যাকে সাথে নিয়ে তিনি জানান ছয় বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে হয়েছিল  মহারানীর বাদল নমের সঙ্গে। বছর তিনেকের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের।  কিন্তু বিয়ের পর গত পাঁচ ছয় বছরে বাইরে অন্য  মেয়ে  কখনো মহিলা নিয়ে নানা কুকীর্তি করে চলছে স্বামী। প্রতিবাদ করলেই শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু হয় তার উপর।
তার বাড়ি মহারানী ইট ভাট্টা এলাকায়।
স্ত্রী সুমিত্রা নম জানান গত কয়েকমাস আগে এক মেয়েকে নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ পালিয়ে যায় বাদল।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার প্রথম বউ আরকেপুর মহিলা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি জানান বাড়িতে স্ত্রী ছোট্ট কন্যা সন্তান ফেলে অন্ধ্রপ্রদেশে আরেক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় তার স্বামী বাদল নম:। এই খবর পেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ফ্লাইটে  ওই মেয়ে সহ স্বামীকে নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে বাড়িতে আনে স্ত্রী।  তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন প্রথম স্ত্রী সুমিত্রা নম:। এবং প্রশাসনিক ভাবে তাদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুজনকেই থানায় নিয়ে আসে প্রথম স্ত্রী।  কিন্তু থানায় এনে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন । লম্পট স্বামীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্ত্রী।

আরো পড়ুন